
রূপাই, অরুণাচল প্রদেশ, ১২ জুন:উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক তীর্থক্ষেত্র পরশুরাম কুণ্ড আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল। বহুদিনের প্রতীক্ষা ও প্রচেষ্টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল ৫৪ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ভগবান পরশুরামের একটি বিশাল পঞ্চধাতুর মূর্তির স্থাপন কাজ।এই ঘটনা আধ্যাত্মিক চেতনার নবজাগরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যায় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। তিনি ভূমিপূজনের মাধ্যমে মূর্তি স্থাপনের শুভ সূচনা করেন। তার সঙ্গে লোহিত জেলার ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় ঐক্যের এক গভীর প্রতীক। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৮ টন ওজনের পঞ্চধাতুর মূর্তিতে শিল্প ও ভক্তির অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে।

বিগত চার বছর ধরে এই প্রকল্পে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও কর্মীরা।মূর্তি স্থাপনের কাজের দায়িত্বে রয়েছেন রমেশ শাস্ত্রী, সঞ্জয় ত্রিবেদী ও কৌশল শর্মার মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বরা। প্রকল্প সমন্বয়কারী ও বিপ্র ফাউন্ডেশনের জাতীয় সহ-সভাপতি পারমেশ্বর শর্মা ব্যক্তিগতভাবে ষষ্ঠবারের মতো স্থান পরিদর্শনে এসে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি, খ্যাতনামা নির্মাতা নরেশ কুমাওয়াতও সরাসরি তত্বাবধানে রয়েছেন।এই মহতী উদ্যোগ বিপ্র ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এটি কেবল ভগবান পরশুরামের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নয়, বরং ব্রাহ্মণ সমাজের ঐক্য, সাংগঠনিক শক্তি এবং দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।এই মূর্তি ভবিষ্যতে পরশুরাম কুণ্ডকে একটি বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ভক্ত ও পর্যটকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।পরশুরাম কুণ্ডের এই ঐশ্বরিক মূর্তি শুধু ভক্তির স্থান নয়, এটি যুগ যুগ ধরে সমাজে বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও নৈতিকতার বার্তা বহন করে চলবে – এই বিশ্বাসে গর্বিত অরুণাচলবাসী।
Leave a Reply