গুয়াহাটি, ১৫ জুন:
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ১৫ জুন এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগের ইউপিএ সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। বিশেষ করে মনমোহন সিংয়ের সময় গঠিত সাচার কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের অগ্রাধিকারের যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
হিমন্ত শর্মা বলেন, “সাচার কমিটি গঠন করে তখনকার কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছিল যে দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার থাকবে। এরপর প্রাধানমন্ত্রী জনকল্যাণ যোজনার মাধ্যমে সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামগুলিতে বাজেটের ১০% বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই বরাদ্দ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ITI), বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং ইন্দিরা আবাস যোজনার আওতায় ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই নীতির ফলে অসমের বহু এলাকায় সংখ্যালঘুদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হলেও, আদিবাসী ও ভূমিপুত্র জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই ধারা বদলেছে। আমরা বলেছি— যদি একটি টাকাই খরচ করা যায়, তাহলে সেটা কাকে দেওয়া উচিত? সংখ্যালঘুদের, না আদিবাসীদের? উত্তর স্পষ্ট— যাঁরা এই ভূমির প্রকৃত সন্তান, তাদের অধিকারই সবার আগে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে যা “সবার সঙ্গে, সবার উন্নয়ন”-এর আদর্শকে মান্যতা দেয়, কিন্তু আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দেয়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি বলেন— সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, কিন্তু সঙ্গে এটাও বলেন— আদিবাসীদের উন্নয়ন সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে হিমন্ত শর্মা মূলত একটি রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন যে, বিজেপি সরকার আদিবাসী ও ভূমিপুত্র জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আগের সরকারের নীতির কারণে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা তারা শুধরানোর চেষ্টা করছে।
রাজ্যের সম্পদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার আদিবাসীদের : কংগ্রেস সরকারের সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

Leave a Reply